বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন
কালের খবর : নিজের অনৈতিক কাজের ঘটনা প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় তা ধামাচাপা দিতে সাজানো মামলায় গ্রেফতার হওয়া তালাকপ্রাপ্ত স্বামী মোক্তার হোসেন জামিনে আসায় চিন্তিত রাহিমা আক্তার আখি। গত ২৯ ডিসেম্বর কাশীপুর ভোলাইলে কবি নজরুল স্কুলে অপ্রীতিকর অবস্থায় আটক করা হয় রাহিমা আক্তার আখি ও মাহবুবুল আলম রোমেলকে। রোমেল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-কমিটির নেতা পরিচয় দেন।
ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে গত ৩১ ডিসেম্বর মোক্তার হোসেন সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মারধর ও বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা করে আখি এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়রা বলেন, আখি ও রোমেলকে আটক করে স্থানীয় যুবকরা। এসময় রোমেলকে পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তম-মধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয়। এঘটনায় উল্টো ৩১ ডিসেম্বর মোক্তার হোসেনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয় ফতুল্লা থানায়।
মামলাটি পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকতার সুপারিশে রুজু হয় বলেও ভোক্তভোগীদের অভিযোগ।
সাজানো মামলায় মোক্তার হোসেন জামিন পাওয়ায় এখন চিন্তিত আখি। শুধু মোক্তার-ই নয়, এলাকার আরো কয়েকজন যুবক রাহিমা আক্তার আখি নামের ওই নারী রোষানলে পড়ে আতঙ্কে রয়েছে।
রাহিমা আক্তার আখি ভোলাইল এলাকার হাজী ইউনুস মিয়ার মেয়ে। রাহিমা আক্তার আখি কাশীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোক্তার হোসেনের সাবেক স্ত্রী। আখির এটি দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগেও দেওয়ান বাড়ির আমির হোসেন নামের এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয়। পরে মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে আখি মোটা অঙ্কের মোহরানা নিয়ে মোক্তারকে বিয়ে করে। ওই স্কুলে এর আগেও আখি ইমরান নামের এক যুবকসহ আরো কয়েকজনের সাথে অপ্রীতিকর অবস্থায় আটক হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
রাহিমা আক্তার আখি বলেন, সাংবাদিকরা দুইশ’-পাঁচশ টাকা পাইলে যা খুশি তাই লেখে। আপনারাও পাইছেন, এজন্য লেখছেন। যা খুশি লিখে দেন, এতে আমার কিছুই হবে না। আমি ভেঙে পড়বো না। আমি ভেঙে পড়ার মত মেয়েও না। আমি একটা স্কুল চালাই, এতে বুঝতে পারেন।